দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : আধার কার্ড নিয়ে হয়রাণির শিকার হচ্ছেন মানুষ। রাতভোর হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডার মধ্যে ব্যাঙ্কের সামনে রাত জাগছেন অসহায় মানুষ। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বৈলাপাড়া ইউকো ব্যাঙ্কের ঘটনা ।
উপস্থিত মানুষের অভিযোগ, প্রতিদিন ১৫ জনের বেশী নিচ্ছেনা। ফলে ঐ প্রথম ১৫ জনের তালিকায় থাকতে ব্যাঙ্কের সামনে রাত জাগা ছাড়া কোন উপায় নেই ।
অস্থায়ী রেলকর্মী চন্দন বাগদি বলেন আমি গতকাল রাত্রি নটা থেকে বসে আছি আধার কার্ডে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত করব বলে এর আগেও দু তিন দিন এসে ঘুরে গেছি কিন্তু কোনো সুরাহা হয় নি আধার কার্ডের মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত না করতে পারলে কেন্দ্র সরকারের থেকে পাওয়া PFর টাকা আমি পাচ্ছি না আজও অনেক বেলা হয়ে গেছে আজ কাজে যোগ দিতে পারব না অর্থাৎ আজ আমাকে সেলারি দেবেনা এইভাবে চলতে থাকলে বউ ছেলে মেয়ের মুখে অন্ন তুলে কি করে দেবো ।
লক্ষী রুইদাস নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান রাত্রি বারোটা থেকে দুধের শিশুকে নিয়ে এই রাতের অন্ধকারে পড়ে আছি আধার কার্ড করার জন্য আধার কার্ড ছাড়া আমার কোন কাজ হচ্ছে না ।
আধার ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের দুর্ভোগের জন্য শাসক দলের বিষ্ণুপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক দিব্যেন্দু ব্যানার্জি তীব্র ধিক্কার জানিয়ে বলেন কেন্দ্রে যে বিজেপি সরকার তার কাজ হলো মানুষকে হয়রানি করা মানুষকে অবহেলা করা মানুষকে বঞ্চিত করা এটা একটা অমানবিক নজির মানুষ ভোররাত থেকে দাঁড়িয়ে আছে শুধুমাত্র একটা আধার কার্ড করার জন্য এই ব্যবস্থার ওপর আমরাও পরবর্তীতে আন্দোলন গড়ে তুলবো তিনি আরো বলেন রেলের কয়েকজন অস্থায়ী কর্মী তারাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি তারা সেন্ট্রাল গভমেন্ট এর কর্মী হওয়ার সুবাদেও ।
প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি বিষ্ণুপুর নগর মন্ডলীর সভাপতি উত্তম সরকার জানান কেন্দ্র সরকারের ঠিকই আধার কার্ড তৈরি করার কথা বলেছে কিন্তু কার্ড তৈরি করেছেন রাজ্য সরকারের কর্মীরা তাছাড়া এই আধার কার্ড বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দলাদলি না করে কেন্দ্র-রাজ্য উভয়ই সরকার জনসাধারণের উপকারের স্বার্থে উভয়ের সহযোগিতায় আধার কার্ডের ভুল ভ্রান্তি ঠিক করাটা প্রয়োজন এছাড়াও তিনি বলেন রেশন কার্ড ভোটার কার্ড এগুলোতেও তো ভুল আছে এগুলো যদি ব্লক অফিসে এসডিও অফিসে হতে পারে তবে আধার সংশোধন কেন পর্যাপ্ত পরিমানে সরকারি অফিসে হচ্ছে না । এটা মানুষের সাথে দ্বিচারিতা করা হচ্ছে ।